ছবি:সংগৃহীত
১৩ বছর ধরে মেয়ে হত্যার ন্যায়বিচারের আশায় আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার দক্ষিণ ফতেহপুর গ্রামের মৃত আবুল কালামের স্ত্রী সেলিনা বেগম। স্বামীকে রহস্যজনকভাবে হারানোর অল্প কিছুদিন পরই জমি-বিরোধের জেরে খুন হন তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে সুমনা আক্তার (১৪)। সেই থেকে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় অশ্রুসিক্ত দিনই এখন তাঁর জীবনের অংশ।
সেলিনা বেগম জানান, মাত্র সাড়ে চার শতক জমি নিয়ে বিরোধের কারণে তাঁর স্বামী আবুল কালাম রহস্যজনকভাবে মারা যান। একই বিরোধের জেরে ২০১২ সালের ১৯ নভেম্বর সকালে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয় মেয়ে সুমনা। তিনি নিজে বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সমসুল ইসলাম, মখলিছুর রহমান, আব্দুল খালিক, মাসুক আহমদ, সাবিনা ইয়াছমিন ও রিমা বেগমকে আসামি করা হয়।
পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দিলে মামলাটি সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন হয়। কিন্তু এরপর উচ্চ আদালতের বিভিন্ন স্থগিতাদেশে মামলার বিচার দীর্ঘদিন আটকে থাকে। সম্প্রতি আদালত স্থগিতাদেশ অগ্রাহ্য করে নির্ধারিত সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। তবে আসামিপক্ষ এখনও নানা অজুহাতে সময় চাইছে বলে অভিযোগ বাদীপক্ষের।
সেলিনা বেগম জানান, দীর্ঘ ১৩ বছরের এই লড়াইয়ে তিনি প্রায় সর্বস্ব হারিয়েছেন। অর্থশক্তি ও সামাজিক প্রভাবের কাছে তাঁর কান্না আজ অসহায়। তিনি রাষ্ট্র ও আদালতের কাছে দ্রুত ন্যায়বিচার এবং মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর সেলিনা বেগম বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১৫, তারিখ: ২০-১১-২০১২)। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
জৈন্তা বার্তা/ ওয়াদুদ




